জানার আছে অনেক কিছু (সোলার এনার্জি)!!!


সোলার এনার্জি সংশ্লিষ্ট জ্ঞানমূলক এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সহজ সমাধান দেখুন এখানেই।

১। অপ্রচলিত নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের নাম লিখ।  

উত্তরঃ ১। বায়ু শক্তি, ২। সৌর শক্তি, ৩। সামুদ্রিক তাপীয় শক্তি, ৪। মিউনিসিপাল বর্জিত এনার্জি, ৫। জৈব গ্যাস এনার্জি

২। সোলার রেডিয়েশন পরিমাপক যন্ত্র কত ধরণের এবং কী কী?

উত্তরঃ সোলার রেডিয়েশন পরিমাপক যন্ত্র দু’ধরণের যথা-

১। পাইরোহেলিওমিটার ২। পাইরেনোমিটার

৩। পাইরোহেলিওমিটার কী?

উত্তরঃ পাইরোহেলিওমিটার একটি যন্ত্র বা সাধারণ আপতনে সরাসরি সোলার বিকিরণের তীব্রতা পরিমাপ করে।

৪। সোলার বিকিরণের কয়েকটি ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ ১। কৃষি ক্ষেত্রে পানি পাম্পিং এর জন্য

২। সোলার কুকার হিসেবে

৩। বাসা বাড়িতে বাতি জ্বালানো

৪। টেলিভিশন, ক্যাসেট, রেডিও, ভিসিপি, ভিসিয়ার চালানোর ক্ষেত্রে

৬। ছোট ফ্যান চালানোর জন্য

৭। মাইক বাজানোর জন্য

৮। সেলুলার ফোন চালানোর জন্য

৯। ডিসি মোটর চালিন যে কোন যন্ত্রপাতি, যেমন- ফ্যান, ড্রিল মেশিন ইত্যাদি চালানোর জন্য

৫। পাইরোহেলিওমিটার দ্বারা কী পরিমাপ করা হয়?

উত্তরঃ পাইরোহেলিওমিটার দ্বারা সোলার রেডিয়েশন পরিমাপ ক্রয়া হয়

৬। প্রচলিত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোর নাম লিখ।

উত্তরঃ প্রচলিত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলো নিম্নরূপ-

(ক) সৌর শক্তি (খ) বায়ু শক্তি (গ) ক্ষুদ্র আকারের পানি শক্তি

৭। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শক্তির উৎসগুলোর নাম লিখ।

উত্তরঃ ১। বিভিন্ন জ্বালানি

২। পারমাণবিক শক্তি

৩। বায়ু প্রবাহ

৪। সূর্য শক্তি

৫। সামুদ্রিক জোয়ার ভাটা

৬। ফুয়েল সেল

৮। কত সালে Abbort পানি প্রবাহিত পাইরোহেলিওমিটার বের করেন?

উত্তরঃ ১৯০৫ সালে

৯। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যে সকল জ্বালানিকে নবায়ন করার মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, তাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলে।

১০। PV এর পূর্ণরুপ কী?

উত্তরঃ Photovoltaics

১১। সৌর প্যানেলের কাজ কী?

উত্তরঃ সৌর প্যানেলের কাজ হচ্ছে সূর্যের আলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।  

১২। সোলার হোম সিস্টেমের চার্জ কন্ট্রোলারের কাজ কী?

উত্তরঃ সোলার হোম সিস্টমের চারজ কন্ট্রোলারের কাজ হচ্ছে ব্যাটারিরর চার্জিং এবং ডিসচার্জিং নিয়ন্ত্রণ করা।  

১৩। সৌর বিদ্যুৎ কী?

উত্তরঃ সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে সৌর বিদ্যুৎ বলে।

১৪। সৌর প্যানেলের ব্যাটারির কাজ কী?

উত্তরঃ সৌর প্যানেলের  ব্যাটারির কাজ হচ্ছে দিনে উৎপন্ন সৌর বিদ্যুৎকে সঞ্চয় করা এবং রাতের বেলায় বিদ্যুৎ সরবারাহ করা।

১৫। সোলার হোম সিস্টেমের কয় ধরণের প্যানেল ব্যবহৃত হয়?     

উত্তরঃ সোলার হোম সিস্টেম্রে সাধারণত তিন ধরণের প্যানেল ব্যবহৃত হয় যেমন-

১। Mono Crystalline

২। Poly Crystalline

৩। Thin Film Solar Module

১৬। সোলার হোম সিস্টেমের অংশগুলোর নাম লিখ।

উত্তরঃ ১। সৌর প্যানেল, ২। ব্যাটারি, ৩। চার্জ কন্ট্রোলার, ৪। লোড

১৭। ইমারজেন্সি লাইট কী?

উত্তরঃ সরবরালাইনের বিদ্যুৎ চলে গেলে যে লাইটিং সার্কিটের মাধ্যমে লাইট জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয় তাকে ইমার্জেন্সি লাইট বলে।

১৮। ইমারজেন্সি লাইটিং সার্কিটের পাঁচটি বিশেষ যন্ত্রাংশের নাম লিখ।

উত্তরঃ ট্রানজিস্টর, ট্রান্সফর্মার, ব্যাটারি, বাল্ব, রিলে

১৯। ইমারজেন্সি লাইটিং সার্কীটে কী ধরণের সুইচ ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ইমারজেন্সি লাইটিং সার্কিটে SPDT সুইচ ব্যবহৃত করা হয়।

২০। SPDT এর পূর্ণনাম লিখ।  

উত্তরঃ Single Pole Double Throw

২১। LED এর পূর্ণরুপ কী?

উত্তরঃ Light Emitting Diode

২২। ইমারজেন্সি লাইটে LED কেন ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ ইমারজেন্সি লাইটে লো ভোল্টেজ ইন্ডিকেটর হিসেবে LED ব্যবহৃত হয়।

২৩। IN 4007 কী?

উত্তরঃ IN 4007 হচ্চে একটি রেক্টিফায়ার ডায়োডের নাম।

২৪। সৌরবিদ্যুতের চারটি অংশ কী কী?

উত্তরঃ (ক) সোলার প্যানেল, (খ) ব্যাটারি, (গ) চার্জ কন্ট্রোলার, (ঘ) লোড (ফ্যান, লাইট ইত্যাদি)

২৫। সোলার সেল কী?                       

উত্তরঃ সোলার মূলত এক ধরণের ডায়োড যা সূর্যের আলোকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর করে।

২৬। সোলার প্যানেল কী?

উত্তরঃ সোলার প্যানেল হল অনেকগুলো সোলার সেলের সমবায় যা সূর্যের আলোকে নিরদিষ্ট ক্ষমতার বিদ্যুৎ শক্তিতে রুপান্তর করে।

২৭।  সৌর চুল্লি/ওভেন/কুকারের সীমাবদ্ধতা কী?

উত্তরঃ ১। বৃষ্টির দিনে রান্না করা যায় না।

২। রৌদ্রে দাঁড়িয়ে রান্না করতে হয়।

৩। ঘন ঘন সূর্য ট্র্যাকিং এর প্রয়োজন হয়।

২৮। সৌর শক্তির ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ

(ক) সৌর চুল্লি বা সোলার অভেন হিসেবে

(খ) সৌর বিদ্যুৎ তৈরিতে

(গ) সোলার ওয়াটার হিটার হিসেবে

(ঘ) সোলার ড্রায়ার হিসেবে

(ঙ) পানি বিশুদ্ধকরণ কাজ, ইত্যাদিতে।

২৯। ফ্লাটপ্লেট কালেক্টর এর তাপমাত্রা ও দক্ষতার রেঞ্জ কত?

উত্তরঃ তাপমাত্রা ৬০-১০০C এবং দক্ষতা ৩০-৫০%

৩০। প্লেটটিতে কিসের প্রলেপ দেয়া থাকে?

উত্তরঃ প্লেটটিএ কাল কোক পাউডারের প্রলেপ দেয়া থাকে। উক্ত প্রলেপ সোলার এনার্জি শোষণ করতে পারে।।

৩১। ফ্লাট প্লেট কালেক্টর পদ্ধতি কোথায় জাতীয়ভাবে ব্যবহার করা যায় না?  

উত্তরঃ ফ্লাট প্লেট কালেক্টর পদ্ধতি গ্রীড সিস্টেমে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেয়ার জন্য জাতীয়ভাবে ব্যবহার করা যায় না।

৩২। মধ্যম তাপমাত্রার রেঞ্জ কত?

উত্তরঃ কোনসেন্ট্রেটর কালেক্টর পদ্ধতিতে তাপমাত্রা ২৬০-৬৫০C এবং দক্ষতা ৫৭-৬০% এ উন্নীত হয়।।

৩৩। আধুনিক থার্মাল পাওয়ার জেনারেটিং সিস্টেমের দক্ষতা কত?  

উত্তরঃ ৩৫-৪২%

৩৪। থার্মাল এনার্জিকে সরাসরি বৈদ্যুতিক এনার্জিতে রুপান্তরের জন্য কী ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ সোলার এনার্জি ব্যবহার করা হয়।

৩৫। ফটোভোল্টায়িক এনার্জি কনভার্সন পদ্ধতিতে সোলার সেল হিসেবে কী ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ সিঙ্গেল ক্রিস্টাল সিলিকন ব্যবহৃত হয়।

৩৬। থার্মাল এনার্জি জমা করার জন্য ক’টি পদ্ধতি আছে?

উত্তরঃ তিনটি পদ্ধতি আছে। (ক) স্ট্যাটাস অফ এনার্জি স্টোরেজ ম্যাটেরিয়াল (খ) টাইম লেংথ অফ স্টোর্ড থারমাল এনার্জি (গ) টেমপেরেচার লেভেল অফ স্টোর্ড থারমাল এনার্জি

৩৭। ফটোভোল্টাইক সেলে কোন ধরণের কারেন্ট উৎপন্ন হয়?

উত্তরঃ ডিসি কারেন্ট

৩৮। ভ্যালেন্স ইলেকট্রন কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ অরবিটের ইলেকট্রনকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।

৩৯। কন্ডাকশন ইলেকট্রন কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল মুক্ত ইলেকট্রন দ্বারা কোনো পরিবাহীতে বিদ্যুৎ পরিবহন ঘটে তাকে কন্ডাকশন ইলেকট্রন বলে।

৪০। মুক্ত ইলেকট্রন কী?  

উত্তরঃ যে ভ্যালেন্স ইলেকট্রনের উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ এত কম থাকে যে, তা অনায়াসে মুক্ত হয়ে যেতে পারে, তাকে মুক্ত ইলেকট্রন বলে। অর্থাৎ, কন্ডাকশন ব্যান্ড অরবিটে চলমান ইলেকট্রন হলো মুক্ত ইলেকট্রন।

৪১। আয়ন বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ কোনো পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করলে তাকে পজিটিভ আয়ন এবং কোনো পরমাণু ইলেকট্রন গ্রহণ করলে তাকে নেগেটিভ আয়ন বলে।

৪২। হোল বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ কোনো সেমিকন্ডাক্টর পরমাণুর ভ্যালেন্স অরবিটের একটি শূন্যতাকে একটি হোল বলা হয়। অর্থাৎ, অ্যাটমিক-বন্ড হতে ইলেকট্রনের বিচ্যুতি দ্বারা সৃষ্ট ভ্যাকেন্সি বা শূন্যতাকে হোল বলা হয়।

৪৩। শক্তি ব্যান্ড কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো কঠিন পদার্থের ইলেকট্রনের শক্তির রেঞ্জ বা ব্যাপ্তি বা পরিসরকে শক্তি ব্যান্ড বলে।

৪৪। কন্ডাকশন ব্যান্ড কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো পরমাণুর কন্ডাকশন ব্যান্ডে বিদ্যমান ইলেকট্রনের শক্তির রেঞ্জ বা ব্যাপ্তি বা পরিসরকে কন্ডাকশন শক্তি ব্যান্ড বলে।

৪৫। অর্ধপরিবাহী বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ যে সব পদার্থের তড়িৎ পরিবাহীতা পরিবাহী পদার্থ এবং অপরিবাহী পদার্থের মাঝামাঝি তাদেরকে অর্ধপরিবাহী পদার্থ বলে।

৪৬। দুটি অর্ধপরিবাহী পদার্থের নাম লিখ।

উত্তরঃ সিলিকন, জার্মেনিয়াম।

৪৭। অর্ধপরিবাহী পদার্থের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অর্ধপরিবাহীর পরিবহন ব্যান্ডে ইলেকট্রনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ফলে রোধ হ্রাস পায় এবং পরিবাহীতা বৃদ্ধি পায়।

৪৮। শৌলি লেভেল কী?

উত্তরঃ কোনো অর্ধপরিবাহীর ভেজাল পরমাণুর শক্তি লেভেল যদি এমন হয় যে একে আয়নিত করতে 1eV এর চেয়ে কম শক্তির প্রয়োজন হয় তবে তাকে শৌলিলেভেল বলে।

৪৯। ফার্মিস্তর বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ যে শক্তি স্তর ইলেকট্রন দ্বারা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাব্যতা ½ তাকে ফার্মিস্তর বলে।

৫০। p-n ডায়োডের কারেন্টের সমীকরণ লিখ।

{\color{Blue} I = {I_s}\left( {{e^{eV/kT}} - 1} \right)}

৫১। সুরঙ্গ/টানেল ডায়োড কী?

উত্তরঃ যে ডায়োডে ভোল্টেজ বৃদ্ধি করলে কারেন্ট হ্রাস পায় অর্থাৎ ঋণাত্বক রোধ প্রদর্শন করে তাকে সুরঙ্গ/টানেল ডায়োড বলে।

৫২। বাধ বিভব কী?

উত্তরঃ ডিপ্লেশন স্তরের ঠিক দুপাশের বিভব পার্থক্যকে বাধ বিভব বলা হয়, যা সিলিকন ডায়োডের জন্য 0.7V, জার্মেনিয়াম ডায়োডের জন্য 0.3V।

৫৩। কক্ষ তাপমাত্রায় অর্ধপরিবাহীর রোধকত্ব আপেক্ষিক রোধ কত?

উত্তরঃ 102 থেকে 106 𝛺cm

৫৪। ডোপিং বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীর সাথে সুনিয়ন্ত্রিত ও উপযুক্ত উপায়ে অল্প অপদ্রব্য মেশানোর প্রক্রিয়াকে ডোপিং বলে।

৫৫। সহজাত অর্ধপরিবাহী কী?

উত্তরঃ ভেজাল বা অপদ্রব্য মুক্ত বিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীকে সহজাত অর্ধপরিবাহী বলে।

৫৬। বহির্জাত অর্ধপরিবাহী কী?

উত্তরঃ ভেজাল বা অপদ্রব্য যুক্ত অবিশুদ্ধ অর্ধপরিবাহীকে বহির্জাত অর্ধপরিবাহী বলে।

৫৭। n-টাইপ অর্ধপরিবাহী কী?

উত্তরঃ যে অর্ধপরিবাহীতে ইলেকট্রন গাঢ়ত্ব হোল গাঢ়ত্বের চেয়ে বেশি তাকে n-টাইপ অর্ধপরিবাহী বলে।

৫৮। p-টাইপ অর্ধপরিবাহী কী?

উত্তরঃ যে অর্ধপরিবাহীতে হোল গাঢ়ত্ব ইলেকট্রন গাঢ়ত্বের চেয়ে বেশি তাকে p-টাইপ অর্ধপরিবাহী বলে।

৫৯। ভর ক্রিয়া সূত্র লিখ।

উত্তরঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন পদার্থের ইলেকট্রন ও হোল গাঢ়ত্বের গুণফল একটি ধ্রুব সংখ্যা। এটাই ভর ক্রিয়া সূত্র নামে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *