গ্রাভিটি জুস (Gravity Juice)
১। ভর আছে এমন বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করে, এই আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে।
মহাকর্ষ বা অভিকর্ষ শুধুমাত্র একধরণের আকর্ষণ বল।
২। মহাকর্ষ বলের কারণে পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ ভিন্ন ভিন্ন কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। একই কারণে চাঁদ একটি পৃথিবীর উপগ্রহ যা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
৩। নিজ অক্ষের চারিদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি এবং একই সাথে পৃথিবীর উপর চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ বলের কারণে সাগরে জোয়ার ভাটার সৃষ্টি হয়।
৪। মুক্তভাবে পড়ন্ত বস্তু ভূমি হতে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় বেগ যদি ১০ মি/সে হয় তবে এক সেকেন্ড পরে তার বেগ হবে ১৯.৮১ মি/সে অথবা দুই সেকেন্ড পরে তার বেগ হবে ২৯.৬২ মি/সে। অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে বস্তুটির বেগ ৯.৮১ মি/সে বৃদ্ধি পায়। এটাই অভিকর্ষজ ত্বরণ।
৫। মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান ৩.৭২১ মি/সে২ (3.721 ms-2) ফলে ২০০ নিউটন ওজন বিশিষ্ট কোনো বস্তুর মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে ওজন হবে প্রায় ৭৬ নিউটন।
৬। এটা ধরে নেয়া হয় যে স্যার আইজ্যাক নিউটন গাছ থেকে আপেল মাটিতে পড়ার দৃশ্য দেখে মহাকর্ষ সূত্র উদ্ভাবনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
৭। সনাতন পদার্থিবিজ্ঞানে বেশিরভাগ ঘটনা নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হলেও আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব দিয়ে ঐ সকল ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়া হয়।
৮। পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত কোনো বস্তুকে যে বলে আকর্ষণ করে পৃথিবী পৃষ্ঠ হতে ১০০ কিলোমিটার উপরে ঐ একই বস্তুর উপর আকর্ষণ বলের মান শতকরা ৩ ভাগ কমে যাবে।
৯। লিফট যদি ৯.৮১ মি/সে২ সমত্বরণে নিচে নামতে থাকে তাহলে লিফটের সাপেক্ষে আরোহীর ত্বরণ শূন্য হয় ফলে আরোহী নিজেকে ওজনহীন অনুভব করে।
১০। ভূপৃষ্ঠ হতে উপরের দিকে যেমন পাহাড়ের উপরে অভিকর্ষজ ত্বরণ কম এবং ভূপৃষ্ঠ হতে নিচের দিকে যেমন খনিতেও অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কমে যায়।
১১। ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থান হতে তার ঠিক নিচের দিকে পৃথিবীর অপর পৃষ্ঠ পর্যন্ত একটি সুড়ঙ্গ বা গর্ত করে একটি টেনিস বল ছেড়ে দিলে বলটি দোলনার মত দুলতে থাকবে।
১২। পৃথিবী আজ এই মুহুর্তে মহাবিশ্বের যে অবস্থানে অবস্থান করছে, ঠিক একই অবস্থানে ফিরে আসতে তার ২৫০ মিলিয়ন বছর সময় লাগে।