জানার আছে অনেক কিছু (জ্যামিতিক আলোকবিদ্যা)!!!
১। অপেরণ বলতে কি বুঝ? [জাবি-২০১৬]
উত্তরঃ লেন্স এবং গোলীয় দর্পণ কর্তৃক বিম্ব গঠনের ক্ষেত্রে ধরে নেয়া হয় যে, দর্পণ বা লেন্সের উন্মেষ খুব ক্ষুদ্র এবং দর্পণ বা লেন্সের উপর আপতিত রশ্মি গুচ্ছের দর্পণ বা লেন্সের অক্ষের সাথে আনতি অতি ক্ষুদ্র। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বিম্ব গঠনের সময় প্রায় উক্ত শর্ত দুটি ঠিক থাকে না। ফলে বিম্ব যথার্থ না হয়ে ত্রুটিপূর্ণ হয়। বিম্বের এ ত্রুটিকে অপেরণ বলে।
২। কোমা কী? [জাবি-২০১৫]
উত্তরঃ লেন্সের প্রধান অক্ষের সামান্য দূরে বিন্দু বস্তু রাখলে উক্ত বিন্দু হতে নির্গত আলোক রশ্মিসমূহের কেন্দ্রীয় অংশ দ্বারা প্রতিসৃত হবার পর বিন্দু প্রতিবিম্ব গঠন করে। কিন্তু আলোক রশ্মিসমূহ লেন্সের কেন্দ্রিয় অংশ হতে দুরবর্তী অংশ দ্বারা প্রতিসৃত হলে বর্ধিত ব্যাসের গোলকের প্রতিবিম্ব গঠন করে। যাদের কেন্দ্রগুলো সমকেন্দ্রিক নয়। লেন্সের সমগ্র অংশ দ্বারা উৎপন্ন প্রতিবিম্ব অনেকটা ধূমকেতুর মতো দেখায়। প্রতিবিম্বের এই প্রকার ত্রুটিকে কোমা বলে।
৩। অনুবন্ধী ফোকাস কাকে বলে? [জাবি-২০১৪]
উত্তরঃ লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর এমন কতকগুলো জোড়া জোড়া বিন্দু রয়েছে যাদের প্রত্যেক জোড়ায় প্রথম বিন্দুতে বস্তু থাকলে দ্বিতীয় বিন্দুতে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় এবং দ্বিতীয় বিন্দুতে বস্তু থাকলে প্রথম বিন্দুতে প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত এ জোড়া বিন্দুগুলোকে বলা হয় এক জোড়া অনুবন্ধী ফোকাস।
৪। গোলাপেরণ কী?[জাবি-২০১৪]
উত্তরঃ সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ কোনো গোলীয় তলের বিস্তৃত উন্মেষে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর গোলকীয় তলের প্রধান অক্ষের বিভিন্ন বিন্দুতে প্রতিবিম্ব গঠন করে এবং তার ফলে প্রতিবিম্ব বিস্তৃত অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ হয়। প্রতিবিম্বের এই ত্রুটিকে গোলাপেরণ বলে।
৫। অবিন্দুকত্ব কী? এটা সংশোধনের উপায় বর্ণনা কর। [জাবি-২০১৪]
কোমার মত বিষমাপেরণ বা অবিন্দুকত্ব হল লেন্সের প্রধান অক্ষের বাইরে লেন্সে গঠিত বিম্বের ত্রুটি। বিষমাপেরণ ও কোমার মধ্যে পার্থক্য হল কোমায় প্রধান অক্ষের তল বরাবর ধূমকেতুর ন্যায় বিম্ব গঠিত হয় এবং বিষমাপেরণে প্রধান অক্ষ বরাবর বিভিন্ন আকৃতির বিম্ব গঠিত হয়।
৬। কোমা কী? এটা কীভাবে দূর করা যায়? [জাবি-২০১৪]
উত্তরঃ লেন্সের প্রধান অক্ষের বাইরের কোনো বিন্দু বস্তুর বিম্বের ত্রুটিকে কোমা বলা হয়। এ ধরণের ত্রুটি গোলাপেরণের মতই। উভয় ক্ষেত্রেই বিন্দু বস্তু হতে লেন্সে আগত আলোক রশ্মিসমূহকে এক বিন্দুতে মিলিত হতে পারে না। বিন্দু বস্তু লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর থাকলে গোলাপেরণ ত্রুটি হয় এবং বিন্দু বস্তুটি প্রধান অক্ষের বাইরে থাকলে কোমা ত্রুটি হয়। লেন্সের প্রধান অক্ষীর সামান্য দূরে বিন্দু বস্তু রাখলে উক্ত বিন্দু হতে নির্গত আলোক রশ্মিসমূহের কেন্দ্রীয় অংশ দ্বারা প্রতিসৃত হবার পর বিন্দু প্রতিবিম্ব গঠন করে। কিন্তু আলোক রশ্মিসমূহ লেন্সের কেন্দ্রিয় অংশ হতে দুরবর্তী অংশ দ্বারা প্রতিসৃত হলে বর্ধিত ব্যাসের গোলকের প্রতিবিম্ব গঠন করে। যাদের কেন্দ্রগুলো সমকেন্দ্রিক নয়। লেন্সের সমগ্র অংশ দ্বারা উৎপন্ন প্রতিবিম্ব অনেকটা ধূমকেতুর মতো দেখায়। প্রতিবিম্বের এই প্রকার ত্রুটিকে কোমা বলে।
৭। গোলাপেরণ বলতে কী বুঝ? [জাবি-২০১৫]
উত্তরঃ সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ কোনো গোলীয় তলের বিস্তৃত উন্মেষে প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হবার পর গোলকীয় তলের প্রধান অক্ষের বিভিন্ন বিন্দুতে প্রতিবিম্ব গঠন করে এবং তার ফলে প্রতিবিম্ব বিস্তৃত অর্থাৎ ত্রুটিপূর্ণ হয়। প্রতিবিম্বের এই ত্রুটিকে গোলাপেরণ বলে।
৮। বর্ণাপেরণ কাকে বলে? [জাবি-২০১৪]
উত্তরঃ উত্তরঃ কোনো উৎস হতে বিভিন্ন বর্ণের আলো লেন্সে আপতিত হলে গঠিত প্রতিবিম্ব পর্দায় ফেললে দেখা যাবে যে বিভিন্ন রঙের আলোর জন্য গঠিত প্রতিবিম্বের আকৃতি ও অবস্থান ভিন্ন। লক্ষ্যবস্তু দেখতে সাদা হলেও গঠিত প্রতিবিম্বটি ঝাপসা ও রঙ্গিন দেখাবে। প্রতিবিম্বের এ ত্রুটিকে বর্ণাপেরণ বলে।
৯। অবার্ণ লেন্স সমবায়, অনুদৈর্ঘ্য বর্ণাপেরণ, অনুপ্রস্থ বর্ণাপেরণ ও অ্যাপ্লানাটিক লেন্স, ক্রসড লেন্স, টরিক লেন্স বলতে কী বুঝ? [জাবি-২০০৮]
উত্তরঃ অবার্ণ লেন্স সমবায়ঃ বিভিন্ন উপাদানের দুই বা ততোধিক লেন্সকে পরস্পরের সংস্পর্শে বা ব্যবধানে রেখে একটি লেন্স সমবায় গঠন করে বর্ণাপেরণ হ্রাস করার পদ্ধতি কে অবার্ণ লেন্স সমবায় বলে।
অনুদৈর্ঘ্য বর্ণাপেরণঃ লেন্স হতে বিভিন্ন বর্ণের প্রতিবিম্বের দূরত্ব সমান না হওয়ায় প্রতিবিম্বের যে ত্রুটি হয়, তাকে অনুদৈর্ঘ্য বর্ণাপেরণ বলে।
অনুপ্রস্থ বর্ণাপেরণঃ লেন্সের ফোকাস দৈর্ঘ্য রশ্মির বর্ণের উপর নির্ভর করে অর্থাৎ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। ফলে বিভিন্ন বর্ণের প্রতিবিম্বের আকার বিভিন্ন হয়। প্রতিবিম্বের এ ত্রুটিকে অনুপ্রস্থ বর্ণাপেরণ বা পার্শ্বীয় বর্ণাপেরণ বলে।
অ্যাপ্লানাটিক লেন্সঃ একটি স্বচ্ছ গোলককে যদি লেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সর্বদা একজোড়া বিন্দু পাওয়া যাবে, যার একটিতে উৎস স্থাপন করলে অন্যটিতে গোলাপেরণমুক্ত প্রতিবিম্ব পাওয়া যাবে। এই বিশেষ জোড়া বিন্দুকে আপ্লানাটিক বিন্দু বা অবিকৃত বিন্দু বা মুক্ত ফোকাস যুগল বলে। উক্ত গোলীয় তলকে অ্যাপ্লানাটিক লেন্স বলে।
ক্রসড লেন্সঃ যে লেন্সের দুটি তলের ব্যাসার্ধের অনুপাত এমন হয় যাতে গোলাপেরণ এর মান ন্যূনতম হয় তাকে ক্রসড লেন্স বলে।
টরিক লেন্সঃ যে লেন্সের অভিলম্বিক এবং অনুভূমিক বক্রতার ব্যাসার্ধ আলাদা তাকে টরিক লেন্স বলে।
Leave a Reply