জানার আছে অনেক কিছু (মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ)!!!
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সহজ উত্তর দেখুন এখানেই।
১। মহাকর্ষ বল কাকে বলে?
উত্তরঃ মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে।
২। অভিকর্ষ বলের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ
(১) মহাকর্ষ বল অতি দুর্বল বল;
(২) চুম্বক ও বৈদ্যুতিক সূত্রের অনুরুপ দূরত্বের পরিবর্তনে দূরত্বের বর্গাকার ভাগফলে কমলেও চুম্বকক্ষেত্র বা বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র কোনো প্রভাব বিস্তার করে না;
(৩) দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বল পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার বলরুপেই দেখা যায়;
(৪) মাধ্যমের পরিবর্তনে বা অন্য কোনো বস্তুর নিকট নিউটনের মহাকর্ষ বলের সমীকরণ অভিন্ন থাকে।
(৩) অভিকর্ষ বল কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বলকে অভিকর্ষ বল বলে।
(৪) নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র বিবৃতি কর।
উত্তরঃ মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুকণা একে অপরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ বলের মান বস্তু দুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের মধ্যকার দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তু দুটির সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়াশীল।
(৫) মহাকর্ষীয় ধ্রবক কে সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রবক বলা হয় কেন?
উত্তরঃ মহাকর্ষীয় ধ্রবকের মান বস্তুদ্বয়ের প্রকৃতি বা মাধ্যমের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে না। বস্তুর প্রকৃতি বলতে বুঝায় ভর, আয়তন, ঘনত্ব, উপাদান, ভৌত অবস্থা, তাপমাত্রা ইত্যাদি। মাধ্যমের প্রকৃতি বলতে বুঝায় প্রবেশ্যতা, প্রবণতা, দিকদর্শিতা ইত্যাদি। এজন্য G কে সার্বজনীন ধ্রবক বলা হয়।
(৬) মহাশূন্যচারীরা নিজেকে ওজনহীন অনুভব করেন কেন?
উত্তরঃ মহাশূন্যযান পৃথিবীর চতুর্দিকে বৃত্তপথে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। মহাশূন্যযানে একটি কেন্দ্রবিমুখী বলের সৃষ্টি হয় যা অভিকর্ষ ত্বরণের মানকে প্রশমিত করে। ফলে মহাশূন্যচারী তার ওজনের বিপরীতে কোনো বল অনুভব করেন না। তাই তিনি ওজনহীনতা অনুভব করেন।
(৭) অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর সয়ের সাথে বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
(৮) মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর চারিদিকে যে অঞ্চলের মধ্যে এর আকর্ষণ বল অনুভূত হয়, সেই অঞ্চলকে ঐ বস্তুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র বলে।
(৯) মহাকর্ষীয় প্রাবাল্য কাকে বলে?
উত্তরঃ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একক ভরের কোনো একটি বস্তু স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাকে ঐ বিন্দুর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র প্রাবাল্য বলে।
(১০) মহাকর্ষীয় বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ একক ভরের কোনো বস্তুকে অসীম থেকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে নিয়ে আসতে মহাকর্ষের বিরুদ্ধে যে কাজ করতে হয় তাকে মহাকর্ষীয় বিভব বলে।
(১১) মহাকর্ষ বিভবের মান ঋণাত্বক হয় কেন?
উত্তরঃ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে বিভব বলতে অসীম দূরত্ব থেকে একক ভরের কোনো বস্তুকে ঐ বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয় তাকে বোঝায়। এ সরণ বলের বিপরীতমুখীয় হয় বলে কৃতকাজ ঋণাত্বক হয়। কৃতকাজ ঋণাত্বক বলে মহাকর্ষ বিভবের মান ঋণাত্বক হয়।
(১২) অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কী কী কারণে পরিবর্তিত হয়?
উত্তরঃ (ক) উচ্চতার ক্রিয়া, (খ) আকার ক্রিয়া, (গ) আহ্নিক গতি
(১৩) পৃথিবীর পৃষ্ঠ হতে উপরের দিকে অথবা নিচের দিকে (খনির ভিতরে) যেতে থাকলে অভিকর্ষজ ত্বরণের কী পরিবর্তন হয়?
উত্তরঃ কমতে থাকে।
(১৪)